সাজেকে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে বৈসাবি’র অনুষ্ঠান বাতিল

0

সাজেক(রাঙামাটি) : রাঙামাটির সাজেকে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে বৈসাবি (বৈসু-সাংগ্রাই-বিঝু) উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান বাতিল করেছে বৈসাবি উদযাপন কমিটি-সাজেক, রাঙামাটি। উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান বাতিলের বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। বৈসাবি উপলক্ষে আগামীকাল বলি খেলা, পুরষ্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

Sajekবৈসাবি উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ সিএইচটি নিউজ ডটকমের এ প্রতিবেদকে জানান, গত ৮ এপ্রিল থেকে আসন্ন বৈসাবি (বৈসু-সাংগ্রাই-বিঝু) উপলক্ষে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা আয়োজন করা হলে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং দুই নিরীহ ব্যক্তিকে আটক করার করণে সেদিন আর শুরু করা সম্ভব হয়নি।  পরে ৯ এপ্রিল থেকে ঘিলা খেলা, নাধেং খেলাসহ ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। আগামীকাল ১১ এপ্রিল বলিখেলার মাধ্যমে খেলাধুলার আয়োজন সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষ্যে আমরা আগামীকাল পুরষ্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আমরা অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি।

তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, বৈসাবি উপলক্ষে খেলাধুলার অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের কাজে সেনাবাহিনী বাধা প্রদান করেছে এবং ৮ এপ্রিল দুই নিরীহ ব্যক্তিকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে হয়রানি করে এবং বেদম মারধর করে। মারধরের শিকার ব্যক্তিরা এখনো ঠিকমত উঠাবসা করতে পারছে না।

বৈসাবি উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বৈসাবি উদযাপন কমিটির ব্যানার বাদ দিয়ে সেনাবাহিনী বাঘাইহাট জোনের নামে ব্যানার করার নির্দেশ দিয়েছে এবং জোন কমান্ডারকে অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করতে বাধ্য করেছে। এছাড়া আগামীকালকের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জোন কমান্ডারকেই পুরস্কার বিতরণের দায়িত্ব দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোট কথা, আগামীকালকের অনুষ্ঠানটি সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাচ্ছে। যার ফলে অনুষ্ঠান বাতিল করা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই।

তারা বলেন, বৈসাবি উৎসব পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী একটি সামাজিক উৎসব। এমন একটি উৎসবে যদি সেনাবাহিনী এ ধরনের হস্তক্ষেপ করে তাহলেতো পাহাড়িদের উৎসব করার আর কোন প্রয়োজন পড়ে না।  তারা সেনাবাহিনীর এ ধরনের হস্তক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
—————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More