সাজেক হামলার ৫ম বার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে স্মরণ সভা

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Sajek hamla smoron sova, 19.02.2015, khagrachariখাগড়াছড়ি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে সেনা-সেটলার হামলার ৫ম বার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন-এর খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে স্বনির্ভরস্থ ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি ভবনের হলরুমে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় পিসিপি জেলা শাখার সদস্য জেসিম চাকমার সঞ্চালনায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক রতন স্মৃতি চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুবফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক অংগ্য মারমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ধীমান খীসা, অনুপম চাকমা, নিপুল কান্তি চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মিশুক চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা সদস্য বরুণ চাকমা।

বক্তারা বলেন, সাজেকে হামলার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাহাড়িদেরকে উচ্ছেদ করে সেখানে বাঙ্গালি সেটলার পুনর্বাসন করা। তারই অংশ হিসেবে সেটলাদের সেখানে জড়ো করা হয় এবং তাদেরকে লেলিয়ে দিয়ে ২০০৮ ও ২০১০ সালে দুই বার পাহাড়িদের উপর বর্বর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় সেনাবাহিনী ও প্রশাসন প্রত্যেক্ষভাবে জড়িত ছিল। তার উপযুক্ত প্রমাণ হচ্ছে হামলার সময় সেনাবাহিনীর গুলিতে বুদ্ধপুদি ও লক্ষ্মী বিজয় চাকমা নিহত হয়েছিলেন।

বক্তারা আরো বলেন, সাজেকে জোরপূর্বক পাহাড়ি বসতি উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের প্রতিবাদে সাজেকবাসী ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। ভূমি বেদখল প্রতিরোধ করতে গিয়েই বুদ্ধপুদি, লক্ষ্মী বিজয় ও লাদুমনি চাকমাকে জীবন দিতে হয়েছে। তাদের রক্তে ভেজা সাজেককে রক্ষা করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৯ – ২০ ফেব্রুয়ারী সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য ও বাঙালি সেটলাররা যৌথভাবে এই বর্বরোচিত হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর গুলিতে বুদ্ধপুদি চাকমা ও লক্ষ্মী বিজয় চাকমা নিহত হন এবং ২টি বৌদ্ধ বিহার ও ৩টি গীর্জাসহ ১১টি গ্রামের পাহাড়িদের পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই করে দেওয়া হয়। এছাড়া রূপন চাকমাকে গুম করা হয়। এর আগে ২০০৮ সালের ২০ এপ্রিল ৪টি গ্রামের ৭৭টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।
———————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More