সিএইচটি কমিশনের ওপর সেটলার হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ৮ পাহাড়ি সংগঠন

0

সিএইচটিনিউজ.কম
পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন(সিএইচটি কমিশন)-এর তিন পার্বত্য জেলায় সফর ভন্ডুল করে দিতে ‘সমঅধিকার আন্দোলন’ নামধারী কতিপয় উগ্র সাম্প্রাদায়িক সংগঠনের হামলায় কোতয়ালী থানার ওসি মনু সোহেল ইমতিয়াজসহ কমিশনের সফরকারী দলের সদস্য ইলিরা দেওয়ান ও ড. ইফতেখারুজ্জান আহত হবার পরিপ্রেক্ষিতে আজ ৫ জুলাই শনিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা  ও প্রতিবাদ জানিয়েছে Bibrityগণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমন্সে ফেডারেশন সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮ পাহাড়ি সংগঠন। বিবৃতি প্রদানকারী অন্যান্য সংগঠনগুলো হলো- পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, সাজেক নারী সমাজ, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়ার্ড।

বিবৃতিতে ৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ চিহ্নিত হামলাকারীদের গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীসমূহের ঘোষণা ও তৎপরতার ব্যাপারে সেনা ও বেসামরিক প্রশাসন আগাম অবহিত ছিল। তা সত্ত্বেও সফরকারী দলের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো দোষ চাপাতে চাইছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থার একটি শক্তিশালী মহলের ইন্ধন ছাড়া উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীসমূহের পক্ষে এ ধরনের হামলা সম্ভব হত না, তা বুঝতে কারোরই বাকী থাকে না। কিছুদিন আগেও দীঘিনালার বাবুছড়ায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধাতে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি নারীদের ওপর সেটলার লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল। কমিশনের ওপর হামলা ঐ ঘটনা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠী অশুভ তৎপরতায় লিপ্ত, এদের সাথে সরকার-প্রশাসনের ভিতরকার আরও অনেক রাঘব বোয়াল জড়িত।

৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়ে আরও বলেন, প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে। তখন মুখচেনা কতিপয় ব্যক্তি ক্ষমতা-সুযোগ সুবিধা থেকে ছিটকে পড়বে। সাধারণ সেটলারদের পাহাড়ি জনগণের শত্রু বানিয়ে এ কায়েমী স্বার্থবাদী চক্রটি ঘৃণ্য খেলা খেলে ফায়দা লুটছে। এতে শুধু পাহাড়ি জনগণ নন, সামগ্রিকভাবে সাধারণ সেটলার বাঙালিরাও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে। কায়েমী স্বার্থবাদী চক্রটি পাহাড়ি-সেটলার ও পুরাতনবস্তী বাঙালি সবার দুশমন, এরা জনগণের শত্রু ।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি মাইকেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্যচিং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, সাজেক নারী সমাজে সভাপতি নিরূপা চাকমা,  সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী সমাজের নেত্রী কাজলী ত্রিপুরা ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতি স্কোয়াডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More