সেনাবাহিনী কর্তৃক জেএসএস’র বান্দরবান জেলা কার্যালয়ে তল্লাশির অভিযোগ
বান্দরবান প্রতিনিধি।। সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্তৃক বান্দরবান জেলা কার্যালয়ে তল্লাশি ও জিনিষপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।
সমিতির বান্দরবান জেলা শাখার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে বান্দরবান সেনা জোনের একদল সেনা সদস্য ও পুলিশ বিনা অনুমতিতে বান্দরবান জেলা সদরে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলা শাখা কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তল্লাশী অভিযান চালিয়েছে। এসময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সমিতির কার্যালয়ে থাকা আলমিরাসহ আসবাবপত্র ভেঙে দেয় এবং কার্যালয়ের বিভিন্ন দলিলপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়। যাওয়ার সময় ডেস্কটপ কম্পিউটারের সিপিইউ, ইন্টারনেটের মডেম, কার্যালয়ের ফাইলপত্র, একটি ডিজিটাল ক্যামেরা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী তথাকথিত তল্লাশী চালিয়ে রাত ১২ টার দিকে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা চলে যায়।
সমিতির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো অভিযোগ করা হয়, একই তারিখে রাত ১১:৩০ টায় বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় জনসংহতি সমিতির লামা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন আসামের বাড়িতেও তল্লাশী চালিয়েছে আলীকদম সেনা জোন কমান্ডারের নেতৃত্বে একদল সেনা ও পুলিশ সদস্য। এসময় সেনা ও পুলিশ সদস্যরা স্বপন আসামের বাড়িতে থাকা জনসংহতি সমিতির লামা থানা কমিটির বিভিন্ন দাপ্তরিক কাগজপত্র ও বইপত্র নিয়ে যায়। সমিতির লামা থানা কমিটির বর্তমানে কোন কার্যালয় না থাকায় স্বপন আসামের বাড়িতেই উক্ত কাগজপত্র সংরক্ষণ করা হয়। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা যাওয়ার সময় ‘সংগঠনের কাগজপত্র ব্যতীত কোন মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়নাই’ মর্মে স্বপন আসামের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি পত্র নিয়ে যায়। এছাড়া আরও বলে যায় যে, সেনাক্যাম্পের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে এবং কোন অনুষ্ঠান করলে যেন তাদের অনুমতি নেয়া হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখও বান্দরবান পার্বত্য জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল সেনাসদস্য ভোর রাতে জনসংহতি সমিতির রোয়াংছড়ি থানা শাখা কার্যালয়ে তালা ভেঙে প্রবেশ করে কার্যালয়ের আলমিরা ভেঙে ফাইলপত্র, সভার কার্যবিবরণী বহি, সমিতির মুখপত্র ‘জুম্মবার্তা’ নিয়ে যায় এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর, তছনছ ও সমিতির নেতাদের ছবি তছনছ করে দিয়ে যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, অচিরেই বান্দরবানে জনসংহতি সমিতির উপর এধরনের অন্যায় তল্লাশী অভিযান, কার্যালয় ভাঙচুর, দলিলপত্র নিয়ে যাওয়া, দমন-পীড়ন, হয়রানি বন্ধ করা না হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
———————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।