সেনাসৃষ্ট দুর্বৃত্ত প্রতিরোধের প্রত্যয়ে ঢাকায় তিন সংগঠনের লাঠি মিছিল

0

ঢাকা : ‘৯৬-এ মুখোশ হটিয়েছি, এবার হটাবো নব্যমুখোশ’, ‘গুণ্ডাপাণ্ডা লেলিয়ে দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন স্তদ্ধ করা যাবে না’ এসব শ্লোগানে এবং ‘পাকিস্তানিমনা সেনা কর্মকর্তাদের অপতৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক হোন’ এই আহ্বানে শহীদ অমর বিকাশ চাকমা স্মরণে ‘মুখোশবাহিনী’ দমনের ২২তম বার্ষিকীতে সেনাসৃষ্ট দুর্বৃত্ত প্রতিরোধের প্রত্যয়ে আজ ৭ মার্চ (বুধবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মুখে লাঠি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ)।

বিকাল সাড়ে ৪ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাঠি ও বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হয় তিন সংগঠনের নেতা কর্মীরা। সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং শেষে শুরু হয় বিক্ষুব্ধ লাঠি মিছিল। মিছিলটি হাইকোর্ট চত্বর হয়ে তোপখানা রোড ও পুরান পল্টন মোড় ঘুরে আবার প্রেস ক্লাবের সম্মুখে ফিরে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ থেকে বক্তারা খাগড়াছড়িতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে যেয়ে সেনা ও পুলিশ বাহিনী কর্তৃক বিনা উস্কানিতে পরিকল্পিতভাবে তিন সংগঠনের নেতা কর্মীদের ওপর হামলা, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবহিনীর ভূমিকাকে তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদারদের সাথে তুলনা করে বলেন, সরকার সংবিধান পরিপন্থী দমনমুলক ১১ দফা নির্দেশনার মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বময় ক্ষমতা অর্পন করেছে। তারা সেখানে সাধারণ পাহাড়ি জনগণের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালাচ্ছে, বিনা বিচারে খুন করছে, ধর্ষন করছে। এবং বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করছে। এযাবৎ সংঘটিত এসব অপরাধে অপরাধী নিরাপত্তা বাহিনীর কোন সদস্যের বিচার আজ পর্যন্ত কোন সরকারের আমলে হয়নি।

সমাবেশ বক্তারা ১৯৯৬ সালে মুখোশবাহিনী প্রতিরোধ করতে যেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত শহীদ অমর বিকাশ চাকমাকে গভীরভাবে স্মরণ করেন। তারা  সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় মদদে নতুন যে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ (জনগণ তাদের নাম দিয়েছে নব্য মুখোশবাহিনী) সৃষ্টি করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের মদদদান, আশ্রয়-প্রশ্রয়দান বন্ধ করতে হবে। তাদেরকে দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও রাজনৈতিক হত্যাকা- বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদী জনতার রোষ থেকে সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী কেউ রেহাই পাবে না।

পিসিপি কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিপুল চাকমা’র সঞ্চালনায় ও এইচডব্লিউএফ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরূপা চাকমা’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক মাইকেল চাকমা, ডিওয়াইএফ-এর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রিপন চাকমা ও পিসিপি কেন্দ্রীয় সভাপতি বিনয়ন চাকমা।
——————-
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্রউল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More