সেনা অপারেশন উত্তরণের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ চলছে–বান্দরবান বিজিবি সেক্টর কমান্ডার
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে পৃথকভাবে বহুবছর ধরে সেনা কর্তৃত্ত্বাধীন শাসনব্যবস্থা চালু আছে। পূর্বে এই সেনাশাসনকে অপারেশান দাবানল বলা হতো। বর্তমান এর নাম দেয়া হয়েছে অপারেশান উত্তরণ।
কর্নেল আহসান ফরিদ আরো বলেন, অরক্ষিত সীমান্তাঞ্চল সুরক্ষায় বান্দরবানে নতুন আরও দু’টি ব্যাটারিয়ন এবং ৩৬টি বিওপি (সীমান্ত নিরাত্তা চৌকি) স্থাপন করা হবে। জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে যাছাই-বাছাই পক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, বান্দরবান জেলায় বাংলাদেশ-মায়ানমার ১৮৬ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। যার মধ্যে ১৩১ কিলোমিটার সীমান্ত এখনো সম্পূর্ন অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচাররোধ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, চলতি বছরের গত ২৩ এপ্রিল নবসৃজিত বান্দরবান সেক্টরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম আরম্ভ হয়। বলিপাড়া, রুমা এবং থানছি তিনটি ব্যাটেলিয়ান নিয়ে বান্দরবান সেক্টর গঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে রুমা-রোয়াংছড়ি উপজেলার মাঝামাঝি স্থানে পাইন্দু-পলি মৌজায় বিজিবি ৫৩ ব্যাটেলিয়নের জায়গা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। পাহাড়ে প্রতিটি ব্যাটেলিয়ান স্থাপনের জন্য প্রায় ৪০ একর জমি প্রয়োজন। আর সেক্টর স্থাপনের জন্য প্রয়োজন ২৫ একর জমি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেক্টর, ব্যাটেলিয়ন এবং বিওপি স্থাপনের জায়গা নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থি ছিলেন, বলিপাড়া বিজিবি ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল আকতারুজ্জামান, বান্দরবান সেক্টরের জিএসটু মেজর মুসতাক, মেজর খালেকুজ্জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক মো: ওসমান গনি প্রমুখ।
সম্প্রতি বান্দরবানের রুমার জনগণের পক্ষ থেকে বিজিবি কর্তৃক পাহাড়ি জনগণের গ্রামের জায়গা দখল করে বিজিপি সেক্টর নির্মাণ করা হচ্ছে অভিযোগ তোলা হয়। রুমার পাইন্দু ও পলি মৌজার মোট ৫০০ পরিবার এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।(সূত্র: সিএইচটি২৪ডটকম # সিটিজিটাইমস্)