স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক নির্দেশনা বাতিলের দাবি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের

0

সিএইচটিনিউজ.কম
ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।

মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে গত ২২.০১.২০১৫ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকের (৪৪.০০.০০০০.০৯,১১.০০১.১৩-১৫ তাং- ২২/০১/২০১৫ খ্রিঃ) মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল দেশী-বিদেশী ব্যক্তি বা সংস্থাসমূহের সেখানকার জাতিসত্তার জনগণের সাথে কথা বলা বা সভা করতে হলে স্থানীয় প্রশাসন বা সেনাবাহিনী বা বিজিবির উপস্থিতি নিশ্চিত করা, চেকপোস্টগুলো সচল করাসহ অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্দেশের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এই নির্দেশনা জনগণের সভা সমাবেশ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চলাফেরার স্বাধীনতা বিরোধী। এই নির্দেশনা প্রমাণ করে হাসিনা সরকার প্রচলিত সংবিধান লংঘন করে চলেছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে সেহেতু এই জাতি বিদ্বেষী ও অগণতান্ত্রিক নির্দেশনা তাঁর আসল চেহারা নতুন করে উন্মোচন করেছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সমতলের সমগ্র জনগণ থেকে, জনগণের গণতান্ত্রিক সংগঠন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিসত্তাগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার এই নির্দেশনার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে তাদের নিশ্চিহ্ন করা ও তাদের ভূমি লুন্ঠন করা এদেশের লুটেরা সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ শাসকশ্রেণী ও তাদের সরকারের গৃহীত কর্মসূচী।

বিবৃতিতে বলা হয় বাংলাদেশ বহুজাতির দেশ। যে সংবিধান ৪৫টির অধিক ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে স্বীকার করে না তা’ জাতি বিদ্বেষী ও অগণতান্ত্রিক। জনগণকে তাই নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান, জনগণের হাতে ক্ষমতার জন্য লড়তে হবে।
———————-

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More