স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে সকল শহীদদের প্রতি ৬ ছাত্র সংগঠনের শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকা: আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’। ১৯৮৩ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের গণবিরোধী শিক্ষানীতি বাতিল, বন্দি মুক্তি ও দমননীতি বন্ধ এবং গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলনে নামা ছাত্র-জনতার রক্তে লাল হয় ঢাকার রাজপথ।
সেদিন পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে প্রাণ হারান জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দিপালী, মোজাম্মেলসহ আরও অনেক তাজা প্রাণ। গণগ্রেফতারসহ নির্মম নির্যাতনের শিকার হন দেড় হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।
দিবসটিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে পাটকল বেসরকারিকরণ বিরোধী ৬টি ছাত্র সংগঠন।
আজ রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১) সকাল সাড়ে ৮টায় হাইকোর্ট গেইট সংলগ্নে শিক্ষা অধিকার চত্ত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তারা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এতে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী কেন্দ্রীয় সভাপতি ইকবাল কবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিফ অনিক , বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকার , বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক এম এইচ রিয়াদ সহ সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে কিছুক্ষণ নিরবতা পালনের পর ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন, ৮৩’র ১৪ ফেব্রুয়ারি জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দিপালী ও মোজাম্মেলসহ নাম অজানা আরো অনেকের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার গণবিরোধী শিক্ষানীতি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে পরবর্তীতে নব্বই সালে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল।
তিনি বর্তমানেও দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে অভিযোগ করে সুষ্ঠূ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার করা এবং ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।