হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা কাউন্সিল সম্পন্ন : ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন জেলা কমিটি গঠিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ৯ম কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ‘অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী সমাজ পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের লড়াইয়ে সামিল হোন‘ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ ৬ মে, শুক্রবার খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভরস্থ ঠিকাদার সমিতি ভবনে দিনব্যাপী এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত সকল প্রতিনিধিবৃন্দের সম্মতিক্রমে মাদ্রী চাকমাকে সভাপতি, মিশুক চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও নাগরী চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হয়।
হিল উইমেন্স ফেডাশেনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রীনা দেওয়ান নতুন জেলা কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
কমিটি গঠনের পূর্বে খাগড়াছড়ি জেলা শাখার বিদায়ী সভাপতি রিকু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রীনা দেওয়ান, ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি উপজেলা ইউনিটের প্রতিনিধি চরণসিং তঞ্চঙ্গ্যা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাবেক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মিঠুন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অর্পন চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য বিপর্শি চাকমা। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিশুক চাকমা ও পরিচালনা করেন মাদ্রী চাকমা।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী সমাজের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন গঠনলগ্ন বিভিন্ন বাধা বিপত্তি মোকাবেলা করে অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে৷ পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে ধ্বংস করে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার তথা শাসকগোষ্ঠি নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও নিপীড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বক্তারা নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা আরো বলেন, ইদানিং পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন সহ সকল ধরনের নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারী সমাজকে আরো বেশি সোচ্চার এবংপার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণের প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের লড়াইয়ে সামিল হতে হবে। একমাত্র পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতন সহ সকল ধরনের নির্যাতন বন্ধ করা, নারী-পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা, পাবত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারপূর্বক সেনাশাসনের অবসান, পাহাড়িদের প্রথাগত ভূমি অধিকার ও সংবিধানে জাতিসত্তার স্বীকৃতির দাবি জানান।