হেডম্যান প্রান্তর চাকমাকে ‘আসামী’ বলে কটাক্ষ করলেন দীঘিনালা ইউএনও

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Dighinala2
দীঘিনালা প্রতিনিধি: দীঘিনালা উপজেলার ৫১নং দীঘিনালা মৌজার হেডমান প্র্রান্তর চাকমাকে “আপনিতো আসামি” বলে কটাক্ষ করেছেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফজলুল জাহেদ পাভেল। এ সময় তিনি প্রান্তর চাকমাকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, ‘একজন আসামীকে  আমি ভাতা দিতে পারবো না’। আজ ২৬ জুন বৃহস্পতিবার সকালে প্রান্তর চাকমা হেডম্যানের সম্মানি ভাতা তুলতে ইউএনও কার্যালয়ে গেলে তিনি এসব অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রান্তর চাকমা হেডম্যানের জন্য নির্ধারিত সম্মানি ভাতা তুলতে ইউএনও কার্যালয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর ইউএনও মো: ফজলুল জাহেদ পাভেল তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “বাবুছড়ায় বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর নির্মাণকে কেন্দ্র করে আপনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আপনিতো আসামী।  কাজেই, একজন আসামীকে আমি ভাতা দিতে পারবো না।” এ সময় ইউএনও’র সাথে প্রান্তর চাকমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রান্তর চাকমা রাগে-ক্ষোভে ইউএনও’র কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন। ইউএনও’র এই অসৌজন্যতার কারণে তিনি আজ নির্ধারিত সম্মানি ভাতাগুলো তুলতে পারেননি।

উল্লেখ্য, ৫১ নং মৌজাধীন বাবুছড়ার যত্নমোহন কার্বারী পাড়ায় গত ১০ জুন বিজিবি, পুলিশ ও সেটলারদের হামলায় ১৮ জন পাহাড়ি গ্রামবাসী আহত হয়, যাদের অধিকাংশই নারী। এ  ঘটনার পর উল্টো পাহাড়িদের বিরুদ্ধে বিজিবি সুবেদার মো: গোলাম রসুল ভূঁইয়া বাদী হয়ে ১১১ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামী করে দীঘিনালা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অন্যান্যদের সাথে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রান্তর চাকমার নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

উক্ত মামলায় বর্তমানে ৩ নারী সহ ৮ জন পাহাড়ি গ্রামবাসী কারাগারে আটক রয়েছেন। কিন্তু  নিরীহ পাহাড়ি গ্রামবাসীদের উপর হামলকারী বিজিবি, পুলিশ ও সেটলাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপই নেয়া হয়নি।

এদিকে, এ মামলাকে পুঁজি করে প্র্রশাসন কর্তৃক স্থানীয় পাহাড়ি জনগণকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More