১৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীতে সকল জাতিসত্তার বর্ণমালা মিছিল করবে পিসিপি

0

Jatisotta scriptচট্টগ্রাম: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে আগামীকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীতে সকল জাতিসত্তার বর্ণমালা মিছিল করবে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)।

পিসিপি’র কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রোনাল চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫টি ভাষায় (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও মুনিপুরী) প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু নয়, সকল জাতিসত্তার নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষাসহ পিসিপি’র শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে সকাল ১০.৩০টায় চট্টগ্রাম মহানগরের চেরাগী পাহাড় মোড় থেকে বর্ণমালা মিছিল বের করা হবে। মিছিল পরবর্তী শহীদ মিনারে প্রাঙ্গনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এতে উক্ত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারী ভাষা শহীদ দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করলে ২০০০ সাল থেকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সকল জাতিসত্তার নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রথমিক শিক্ষাসহ শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবি নিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।

দাবি আদায়ের জন্য মিছিল সমাবেশ স্মারকলিপি পেশ, ক্লাশ বর্জন, স্কুল ধর্মঘট ইত্যাদি করা হয়েছে। সরকার আমাদের দাবির যৌক্তিকতা মেনে নিতে বাধ্য হয়। মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালুসহ পিসিপির ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ২০১১ সালে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ডাকে তিন পার্বত্য জেলায় স্কুল কলেজে ধর্মঘট সফলভাবে পালিত হয়। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পিসিপির দাবিগুলো যৌক্তক বলে মেনে নেন এবং দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। ২০১৪ সালে পিসিপির দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী সংখ্যালঘু জাতির ৬টি ভাষায় (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সান্তাল, গারো ও মুনিপুরী) প্রাথমিক শিক্ষা চালুর ঘোষণা দেন।

প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সরকার এ বছর ৫টি ভাষায় (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও মুনিপুরী) প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করেছে। তবে এতে বেশ অনিয়ম, অদক্ষতা, উদাসীনতা লক্ষা করা গেছে। বই এখনও ঠিক মত পৌঁছেনি। বই পর্যাপ্ত পরিমাণ ছাপা হয়নি। শিক্ষকদের প্রস্তুতিমূলক ট্রেনিং দেয়া হয়নি। সব মিলিয়ে দেখা যায়, সরকার দায়সারাভাবে কাজটা করছে। সবদিক সমন্বয় করে সংখ্যালঘু জাতির মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর ব্যবস্থা নেয়নি। তারপরও আমরা সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমরা সরকারের নেয়া এই পদক্ষেপকে আমাদের আংশিক বিজয় বলে মনে করি।
—————

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More