২০১৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য প্রকাশ করেছে ইউপিডিএফ

0

ডেস্ক রিপোর্ট, সিএইচটিনিউজ.কম

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর মানবাধিকার পরিবীক্ষণ সেল (Human Rights Monitoring Cell)  ২০১৩ সালের পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।

UPDF flagএতে বলা হয়েছে, গত বছর ৩ আগস্ট খাগড়াছড়ির মাটিরাংগা উপজেলার তাইন্দংয়ে পাহাড়িদের উপর ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে ২৫ জানুয়ারি একই উপজেলার হরিধন মগ পাড়া ও হেমঙ্গ কার্বারী পাড়ায় হামলা চালানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় আরো কমপক্ষে ৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৩টি হামলার ঘটনা ঘটেছে মাটিরাঙ্গা উপজেলায়। অপর ঘটনাটি ঘটে বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসী পাড়া ইউনিয়নের মুরুংঝিড়ি এলাকায়।

নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন ২১ জন এবং নিরীহ গ্রামবাসী গ্রেফতার হয়েছেন ২৪ জন। জেএসএস সন্তু গ্রুপের হামলায় নিহত হয়েছেন ৪ জন ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য এবং অপহৃত হয়েছেন ৫৩ জন সমর্থক। বোরকা পার্টির হামলায় ১ ইউপিডিএফ কর্মী সহ ২ জন নিহত ও ১ গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। এছাড়া  অপহৃত হয়েছেন ৯ জন গ্রামবাসী। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরেও সন্তু গ্রুপ পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।

পাহাড়ি নারী, শিশু ও কিশোরী ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৭ জন। এদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ৮ জন। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ১ জন, ধর্ষণ প্রচেষ্টার শিকার হয়েছেন ৬ জন, ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১ জন ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ১ জন।  অপরদিকে ৫ জন বাঙালি নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

জমি দখলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দিঘীনালায় সেনাবাহিনী কর্তৃক পাহাড়িদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। বান্দরবানের ফাক্ষ্যং পাড়ায় গোপনে বন্দোবস্ত নেওয়া মোহাম্মদ আলীর পক্ষে উপজেলা সার্ভেয়ার কর্তৃক প্রতিবেদন প্রদান ও মামলা দায়েরের ফলে ৩৩টি মারমা পরিবারের মধ্যে উচ্ছেদ আতঙ্ক বিরাজ করে।

তাইন্দংয়ে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলা:
২০১৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ওপর ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা হচ্ছে খাগড়াছড়ির মাটিরাংগা উপজেলার তাইন্দংয়ে সংঘটিত হামলা। ৩ আগস্ট এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বৌদ্ধ মন্দিরসহ পাহাড়িদের ৩৬টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। সেটলারদের এ পরিকল্পিত হামলায় ৩৪টি বাড়ি, একটি বৌদ্ধ বিহারের দেশনাঘর ও একটি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। বগা পাড়া, সর্বেশ্বর পাড়া, বান্দরশিং পাড়া, মনুদাস পাড়া, তালুকদার পাড়ায় ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাটসহ ১২টি গ্রামে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ হামলায় কমপক্ষে তিন সহ¯্রাধিক পাহাড়ি পালিয়ে ভারতের সীমান্তে, পানছড়ি উপজেলায় ও জঙ্গলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। কামাল হোসেন নামে এক বাঙালিকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়।

এর আগে ২৫ জানুয়ারি একই উপজেলার হরিধন মগ পাড়া ও হেমঙ্গ কার্বারী পাড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে ২টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ৩৪টি বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। হামলাকারীরা হরিধন মগ পাড়ার জিতাসুখা বৌদ্ধ বিহারের মাইকসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ও বিহারের বুদ্ধমূর্তি ভাংচুর  করে।

বিভিন্ন স্থানে সেটলার হামলা:
২০১৩ সালের ২ ও ৫ এপ্রিল এবং ১৮ জুন খাগড়াছড়ির মাটিরাংগা উপজেলায় সেটলার কর্তৃক সংঘটিত ৩টি হামলায় টাকারমনি পাড়া সহ কয়েকটি পাড়া থেকে কমপক্ষে ৬৭টি পাহাড়ি পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে পালিয়ে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছে। এ হামলায় কমপক্ষে ১১ জন পাহাড়ি আহত হয়।

বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসী পাড়া ইউনিয়নের মুরুংঝিড়ি এলাকায় সেটলারদের হামলায় আহত হয়েছেন ১১জন পাহাড়ি।

এছাড়া রামগড় ও পানছড়ি উপজেলায় পাহাড়িদের দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে, রাঙামাটির নান্যাচর, খাগড়াছড়ি সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় সেটলাররা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করে। বিভিন্ন জায়গায় সেটলার কর্তৃক কমপক্ষে ২৩ জন পাহাড়ি মারধরের শিকার হয়েছেন।

গ্রেফতার:
গতবছর সেনা, বিজিবি ও পুলিশ কর্তৃক মোট গ্রেফতার হয়েছেন ৪৫ জন। এর মধ্যে ২১ জন ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং ২৪ জন নিরীহ গ্রামবাসী। আটককৃতদের মধ্যে অনেককে আটকের পর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের পর ছেড়ে দেয়া হলেও অনেককে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়। অনেকে আদালতের নির্দেশে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও এখনো অনেকে বন্দী রয়েছেন। আটককৃতদের মধ্যে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেতা-কর্মী সহ স্কুল ছাত্রও রয়েছেন।

অপরদিকে সেনা অপারেশন ও তল্লাশির ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন নিরীহ গ্রামবাসী শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এছাড়া মাটিরাংগায় এক গ্রাম প্রধানকে অস্ত্র গুজিয়ে দিয়ে সন্ত্রাসী হিসেবে ফাঁসানো চেষ্টা সহ বিভিন্ন স্থানে নানা হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।

সেনা সদস্যরা রামগড়ে একটি বিদ্যালয় নির্মাণে বাধা প্রদান ও একটি নবনির্মিত বৌদ্ধ বিহারের জিনিসপত্র তছনছ সহ বুদ্ধমূর্তি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সেনা ও পুলিশী হামলা:
গতবছর সেনা ও পুলিশের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে নারীও রয়েছেন।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, রাঙামাটিতে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণার নামে অবৈধ ভূমি বেদখল প্রক্রিয়া বন্ধ ও রামগড়ে ¤্রাইহ্লাপ্রু কার্বারী পাড়া থেকে পাহাড়ি উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ি সদরের দক্ষিণ খবংপুজ্জে এলাকায় পুলিশের গুলিতে চঞ্চলা চাকমা(৫০) নামে এক নারী গুরুতর আহত হন। তিনি ছাড়াও এ হামলায় আরো কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে, দিঘীনালা উপজেলার ২নং বাঘাইছড়িতে বিজিবি ক্যাম্প স্থাপনের নামে সেনাবাহিনী কর্তৃক পাহাড়িদের জায়গা বেদখলের প্রতিবাদ করতে গেলে সেনা সদস্যদের হামলায় এক গ্রামবাসী আহত হয়। একইভাবে দিঘীনালার বানছড়া এলাকার বড়াদাম সেনা ক্যাম্পের পাশ্ববর্তী নিজ জমিতে কাজ করতে গেলে উক্ত ক্যাম্পের সেনা সদস্যদের হামলায় ৩ জন নারী আহত হয়েছেন।

সন্তু গ্রুপের হামলা:
২০১৩ সালে জেএসএস সন্তু গ্রুপের হামলায় নিহত হয় ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য ও সমর্থক ৪ জন এবং জেএসএস(এমএন লারমা)-এর ১১ জন সদস্য। এছাড়া ইউপিডিএফের ৫ জন, জেএসএস(এমএন লারমা)-এর ৬জন কর্মী ও সমর্থক সন্তু গ্রুপের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ মাস বয়সী এক শিশু ও ২ জন বাঙালি মোটর সাইকেল চালকও রয়েছেন। এছাড়া এক শিশু সহ তিন গ্রামবাসীও সন্তু গ্রুপের গুলিতে আহত হয়েছেন।

এছাড়া সন্তু গ্রুপের সদস্যরা রাঙামাটি শহর এলাকা থেকে ইউপিডিএফের দুই নেতার মনোনয়নপত্রসহ সমর্থকদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। তারা রাজস্থলীতে নির্বাচনী প্রচারণাকালে জেএসএস(এমএন লারমা) সভাপতি সুধাসিন্ধু খীসার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।

গতবছর সন্তু গ্রুপ কমপক্ষে  ৫৩ জনকে অপহরণ করে। এদের মধ্যে একজনকে গুম করা হয়। বাকিদের মধ্যে অনেককে মুক্তিপণ ও মুরুব্বীদের মধ্যস্থতায় ছেড়ে দেয়া হলেও ৫ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে কিনা জানা যায়নি। অপহৃতদের মধ্যে গ্রাম প্রধান এবং স্কুল ছাত্রও রয়েছেন। এদের বাইরেও কমপক্ষে ৭ জন গ্রামবাসী ও ইউপিডিএফ সদস্যদের দুই পরিবারের ৪ জন সন্তু গ্রুপ কর্তৃক শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রামেও সন্তু গ্রুপ কর্তৃক পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পিসিপি কর্মীদের উপর সন্তু গ্রুপ দু’বার হামলা চালায়। এসব হামলায় পিসিপি’র ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। এছাড়া চট্টগ্রামের বন্দরস্থ ব্যারিষ্টার কলেজ এলাকা থেকে সন্তু গ্রুপের সদস্যরা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের এক সদস্যকে অপহরণ করে। পরে অবশ্য তাকে উদ্ধার করা হয়। সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা ঢাকায়ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। মিরপুরের শাক্যমনি বৌদ্ধ বিহারের পাশ্ববর্তী বনফুল গ্রীনহার্ট স্কুল এন্ড কলেজ এলাকায় সন্তু গ্রুপের অতর্কিত হামলায় পিসিপি’র ২ জন কর্মী আহত হয়।

বোরকা পার্টি কর্তৃক সংঘটিত হামলা:
সেনা-সন্তু মদদপুষ্ট বোরকা পার্টির সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি ও মাটিরাংগায় ১ ইউপিডিএফ সদস্য ও অপর এক সমর্থককে খুন, ১ গ্রামবাসীকে গুলি করে আহত, ৯ জনকে অপহরণ ও ইউপিডিএফের এক সদস্যের পরিবারকে উচ্ছেদ করে। এছাড়া বোরকা পার্টির সন্ত্রাসীরা ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় লক্ষ্মীছড়ি সদরে মাইকিংয়ের গাড়িতে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

নারী নির্যাতন:
গত বছর পাহাড়ি নারী, শিশু ও কিশোরী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৭ জন। এদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬ জন, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ১ জন মেয়ে শিশু, ধর্ষণ প্রচেষ্টার শিকার হয়েছেন ৬ জন, ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১ জন ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ১ জন। এদের মধ্যে ২ জন পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে ধর্ষণের শিকর হন। যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে ২য় ও ৩য় শ্রেণীতে পড়–য়া শিশু এবং মানসিক প্রতিবন্ধী নারীও রয়েছেন। এদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য দ্বারা ২ জন ও বাকী ১৫ জন বাঙালি কর্তৃক ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হন।

অপরদিকে বাঙালি নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫ জন। এদের মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২য় শ্রেণীতে পড়–য়া এক মেয়ে শিশুকে ও ধর্ষণের পর ১ শিশু আত্মহত্যা করেছে। বাঙালি কর্তৃক এসব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

ভূমি বেদখল:
গতবছর পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় কয়েকটি ভূমি বেদখল সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় সেটলার কর্তৃক স্থানীয় এক পাহাড়ির রেকর্ডিয় ও ভোগদখলীয় জায়গা বেদখলের চেষ্টা চালানো হয়। এদিকে রামগড়ের পিলাভাঙা এলাকায় জায়গা বেদখলের উদ্দেশ্যে সেটলাররা পাহাড়ি মালিকানাধীন বাগান থেকে বাঁশ কেটে নিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একই উদ্দেশ্যে সেটলাররা রামগড়ের বড়পিলাক এলাকায় এক পাহাড়ির বাগানে রাবার ও লিচু গাছ কেটে ফেলে। এছাড়া রামগড়ের ম্রাইহ্লা কার্বারী পাড়া থেকে পাহাড়িদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালানো হয়।

অপরদিকে, খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় ২নং বাঘাইছড়ি ও বানছড়া এলাকায় বিজিবি ও সেনা ক্যাম্প সম্প্রসারণের নামে পাহাড়িদের জায়গা বেদখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনীর বাধার কারণে পাহাড়িরা উক্ত জায়গায় কাজকর্ম করতে পারছেন না।

ইউপিডিএফের প্রচার বিভাগের দায়িত্বরত নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More