৩০ জুন বিতর্কিত ‘পঞ্চদশ সংশোধনী’ ও ‘১১ নির্দেশনার’ প্রতি লাল কার্ড প্রদর্শন করবে ৮ গণসংগঠন

0

সিএইচটিনিউজ.কম
আগামী ৩০ জুন সংবিধানের বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাসের ৪ বছর পূর্ণ হবে। এদিন পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনরত ৮গণসংগঠন (গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি, সাজেক নারী সমাজ, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড) বিতর্কিত ‘পঞ্চদশ সংশোধনী আইন’ ও পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ‘১১ নির্দেশনার’ প্রতি লালকার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করবে।

রবিবার (২৮ জুন) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক প্রেস বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

ছবি: প্রতীকী
ছবি: প্রতীকী

৮ গণসংগঠনের কনভেনিং কমিটির সদস্য সচিব অংগ্য মারমা স্বাক্ষরিত প্রেস বার্তায় জানানো হয়-ঢাকা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা, গুরুত্বপুর্ণ স্থান, হাটবাজার ও সড়কে এ কর্মসূচি নির্ধারিত সময়ে একযোগে পালিত হবে।

আট গণসংগঠনের কনভেনিং কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও স্থানীয় সংগঠনসমূহকে এ কর্মসূচি সফল করার মাধ্যমে নিজ নিজ জাতীয়তার পরিচিতি তুলে ধরতে স্ব স্ব এলাকায় সর্বাত্মক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত বার্তায় ৮গণসংগঠনের কনভেনিং কমিটি বিতর্কিত “পঞ্চদশ সংশোধনী আইন” ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দমনমূলক “১১ নির্দেশনাকে” সুস্পষ্টভাবে সরকারের “ফাউল” (foul play) হিসেবে সাব্যস্ত করেছে এবং এর জবাবে “লাল কার্ড প্রদর্শনই” যথোপযুক্ত বলে মন্তব্য করেছে। ৮গণসংগঠন এও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, ‘জনগণই হলো প্রকৃত ক্ষমতার উৎস। নির্বাচনের দিন প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের যেমন ভোট প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে, তেমনি গণবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জনগণ রেফারির মত লাল কার্ড প্রদর্শন করার অধিকারী।’

প্রেসবার্তায় উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালে ৩০ জুন আওয়ামী লীগ সরকার তড়িঘড়ি করে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাসের মাধ্যমে দেশের সকল সংখ্যালঘু জাতিসমূহের উপর জোরপূর্বক উগ্র “বাঙালি জাতীয়তা” চাপিয়ে দেয়, যা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসরত ভিন্ন ভাষাভাষী সংখ্যালঘু জাতিসমূহ মেনে নেয় নি। বিতর্কিত এই বিল পাসের প্রতিবাদে ইউপিডিএফ ও এ দলভুক্ত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামসহ অন্যান্য সংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামে কাল পতাকা উত্তোলন, সর্ববৃহৎ মানববন্ধন, তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক অবরোধ, প্রতিবাদ সমাবেশ, লাল পতাকা মিছিল সহ নানা কর্মসূচি পালন করে। দেশের অন্যত্রও ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিসমূহ এ অন্যায় আইনের প্রতিবাদ জানায়। দেশের গণতান্ত্রিক দল ও বরেণ্য ব্যক্তিগণ উক্ত আইন পাসের কারণে সরকারের সমালোচনা করেন এবং তা বাতিলের দাবি জানান। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে এত প্রবল প্রতিবাদ বিক্ষোভ সত্ত্বেও সরকার বির্তকিত আইনটি বাতিল করে নি। দৃশ্যতঃ সরকার দিন দিনই ফ্যাসীবাদী রূপ ধারণ করে নাগরিকগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করতে উদ্যত হয়েছে। দমন-পীড়ন জারি রাখতে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক অগণতান্ত্রিক দমনমূলক “১১ নির্দেশনা” জারি করেছে। এর অর্থ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসনকে বৈধতা দান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিপীড়ন-নির্যাতনে লিপ্ত হতে প্ররোচনা দেয়ার সামিল।
———————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More