৩৫ লাখ টাকা বিল নিয়ে আলীকদম-পোয়ামুহুরী রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদার

0

আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম

পার্বত্য বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ঠিকাদার ও এলজিইডির গাফেলতির কারণে আলীকদম-পোয়ামুহুরী রাস্তার নির্মাণ কাজ আবারো বন্ধ হয়ে পড়েছে। গত ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে নির্মাণাধীন এ রাস্তার ২২শ’ মিটার উন্নয়নে সোয়া দুই কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল। অর্থবছর শেষ হলেও কাজটি শেষ হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৩৫ লাখ টাকা বিল উত্তোলনের পর কাজ করছেনা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে বান্দরবান জেলা নির্বাহী  প্রকৌশলী ক্যহ্লাখই বলেন, দীর্ঘ অবরোধের কারণে হয়ত ঠিকাদার সাময়িক কাজ বন্ধ রেখেছে। কাজ শুরুর জন্য অচিরেই দাপ্তরিকভাবে তাগাদা দেয়া হবে।

Aniomসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলীকদম-জানালী পাড়া-পোয়ামুহুরী সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে। ৩৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ রাস্তায় ইতোমধ্যে ২৭শ’ মিটার কার্পেটিং-এ ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, ৯টি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণে ৭ কোটি টাকা, এবং ৪৯শ’ ৩২ মিটার সড়ক পর্যন্ত এইচবিবিকরণে ৯২ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে এলজিইডির সড়ক আইডি নং ৪০৩০৪২০০৪ মূলে এ রাস্তাটির চেইনেজ ২৭শ’ মিটার থেকে ৩৯শ’ ৩২ মিটার পর্যন্ত উন্নয়ন কাজে পূনরায় ২ কোটি ১৭ লাখ ২৯ হাজার ১৭৭ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এরমধ্যে কার্পেটিং-এ ১ কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৩০২ টাকা, গাইডওয়াল নির্মাণে ৩৯ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৪ টাকা, ড্রেন নির্মাণে ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৩২৩ টাকা ও ইমপ্রোভমেন্ট হার্ডসোল্ডার খাতে ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ১৬৮ টাকা ব্যয় ধরা হয়।

এলজিইডির কার্যাদেশে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে মি. ইউটিমং, মধ্যম পাড়া, বান্দরবান। কিন্তু হাতবদল করে কাজটি বাগিয়ে নিয়েছেন কক্সবাজার জেলার দিদারুল ইসলাম নামে একজন প্রভাবশালী ঠিকাদার। কার্যাদেশ মতে গত ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে কাজটি শেষ করার কথা। সড়কের কিছু অংশে ইমপ্রোভমেন্ট হার্ডসোল্ডার ও গাইডওয়াল নির্মাণ করেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৩৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ২৩৯ টাকার বিল গ্রহণ করেছেন। ইতোপূর্বে গাইডওয়াল নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশে তা ভেঙ্গে নতুনভাবে নির্মাণ করতে বাধ্য হন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

জানতে চাইলে প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদার মি. ইউটিমং বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, কাজটি দিদার মৌলভী নামের একজন কন্ট্রাক্টর তার পক্ষে বাস্তবায়ন করছেন। তবে হরতাল অবরোধের কারণে কাজটি বন্ধ আছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার বলেন, আমি কর্মস্থলে নতুন। কাজটি বন্ধ রাখার বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীকেও অবহিত করা হয়েছে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More