৬ মাস কেন্দ্রে যাচ্ছে না স্বাস্থ্য সহকারী: মানিকছড়ির চেম্প্রুপাড়ার ‘মা ও শিশুরা’ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত !

0
মানিকছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
মানিকছড়ির দূর্গম জনপদ চেম্প্রুপাড়ার সহস্রাধিক ‘মা ও শিশু‘ গত ছয় মাস ধরে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত! ‘স্বাস্থ্য সহকারী’কেন্দ্রে না যাওয়ার কারণে নবজাতক শিশু ও গর্ভবতী মায়েরা এখন নানা রোগে রোগাকারান্ত ।জানা গেছে, উপজেলার বাটনাতলী ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের অন্তরভুক্ত আটটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য সহকারী উৎপলেন্দু দেওয়ান গত ৬ মাস ধরে কোন কেন্দ্রে না গিয়ে ঘরে বসেই শতভাগ কাজের রির্পোট জমা দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় ভোক্তভোগিরা। ওই ১ নং ওয়ার্ডের ৮টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৫-৫৯ বছর বয়সী মহিলার সংখ্যা ১ হাজার ৩ শ ৩৫ জন। শুন্য- ১১ মাস বয়সী শিশু ১শ ৬০ জন। এসব এলাকার মা ও শিশুরা গত ৬ মাস ধরে নির্ধারিত তারিখে কেন্দ্রে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীকে না পেয়ে স্বাস্থ্যসেবা (পেন্টাভ্যালেন্ট, ভিসিজি, এমআর, পোলিও, টিটিসহ) না নিয়েই ফিরে আসছেন। কিন্তু নিয়মিতভাবে অফিসে শতভাগ কার্যক্রমের রির্পোট দাখিল করছেন। বর্তমানে ওই এলাকার মা ও শিশুরা যথা সময়ে নির্ধারিত সেবা না পেয়ে নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

টিকা না পাওয়া শিশু আনিফার মা সাফিয়া বেগম জানান, আমার মেয়ে গত ১৯.৪.১২ তারিখে জন্ম গ্রহণ করার পর মাত্র ২টি টিকা পেয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী ৬ মাস ধরে কেন্দ্রে না আসার কারণে বাকী টিকাগুলো দিতে পারেনি। এখন আমি শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে অনেক মায়েরা গর্ভবর্তী হলেও টিকা না নিয়েই সন্তান প্রসব করতে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী পরিদর্শক অনাদি রঞ্জন চাকমা প্রতিনিধিকে জানান, বাটনাতলীর ৮টি কেন্দ্রে নিয়মিত ও সময় মত ওষধ বক্স যাচ্ছে এবং রির্পোট ও জমা দিচ্ছে। কিন্তু ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সচেতন অভিভাবকরা ইতিমধ্যে ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। যার ফলে এখন থেকে প্রতিটি কেন্দ্র মনিটরিং করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা ডা. মো.দিদারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে তাকে একাধিকবার লিখিত শোকজ করাসহ বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা.হাসান ইমাম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান,যে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More