৯ জন সেটলার আমাকে ঝাপটে ধরে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে–অমৃত রঞ্জন চাকমা

0
                অমৃত রঞ্জন চাকমা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিসিইচটিনিউজ.কম

খাগড়াছড়ি: বান্দরশিং গ্রামের কার্বারী অমৃত রঞ্জন চাকমা (২৯)। ৩ আগস্ট তাইন্দংয়ে সেটলার হামলায় প্রথম যে ১২ জন পাহাড়ি হামলার শিকার হন এর মধ্যে তিনিও একজন। সেটলাররা তাকে লাঠিসোটা দিয়ে বেদম মারধর করলে তিনি আহত হন। যে সময় সেটলাররা তাদের মারধর করছিল সে সময় বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সকাল ১১টার দিকে আমি ভাত খাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিলাম। এ সময় বান্দরশিং পাড়া বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার ফোন করে বলেন যে, ক্রসিং এলাকায় একজন বাঙালি অপহরণ হয়েছে সেটা জানো কিনা? আমি জানিনা বলে উত্তর দিই। তিনি ঐ বাঙালিকে খোঁজ করার জন্য আমাকে ডাকেন। আমি সুকুমনি চাকমা সহ ১০/১৫ জন লোক নিয়ে ক্রসিং এলাকায় যাই। বান্দরশিং পাড়া ক্যাম্প থেকে বিজিবি’র ১০/১৫ জন সদস্য সেখানে যান। বগাপাড়া থেকে মেম্বার এবং কার্বারীরাও সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। আমরা পাহাড়ি-বাঙালি মিলে বিভিন্ন জায়গায় ঐ ব্যক্তিকে খোঁজাখুজি করি। অনেক খোঁজাখুজির পরও তাকে না পেয়ে পরে সেটলাররা উত্তেজিত হয়ে বিজিবি’র সামনেই আমাদের উপর হামলা চালায়।

সেটলাররা মোটর সাইকেলযোগে ও পায়ে হেঁটে বান্দরশিং ক্রসিং এলাকায় জড়ো হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে অনেকে পালিয়ে যায়। আমিও পালিয়ে যাবার চেষ্টা করি। এ সময় ৯ জন সেটলার আমাকে ঝাপটে ধরে লাঠিসোটা দিয়ে উপর্যুপুরি মারধর করে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও সেটলারদের বিরুদ্ধে তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। 

এর পরপরই সেটলাররা বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া শুরু করে। পরে বিজিবি সদস্যরা আমাদের ১১ জনকে সেটলারদের হাত থেকে উদ্ধার করে বান্দরশিং পাড়া ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সুকুমনিকে কোথায় নিয়ে গেছে তখন আর আমরা জানতে পারিনি। সেটলাররা আমাকে এমনভাবে মারধর করে আমি হাঁটতে পারছিলাম না। আমরা সারারাত বিজিবি ক্যাম্পে ছিলাম। পরদিন ৪ আগস্ট পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, জিওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসলে আমাদেরকে বগা পাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More